| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের এক রোল মডেল : শামীম ওসমান


শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের এক রোল মডেল : শামীম ওসমান


রহমত নিউজ ডেস্ক     17 September, 2023     10:06 AM    


নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার জন্য বিএনপি-জামায়াত ২১ বার চেষ্টা করেছিল। ওরা আবারো আঘাত করবে। তবে এবার ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, এবার আঘাত করা হবে এই দেশটাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। তিনি আমাদের স্বপ্ন, তাকে বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ তার বিকল্প কিছু নেই, তার বিকল্প তিনি নিজেই। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিল, এখন যারা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের বলতে চাই- আমরা কারও পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াইনি। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজকে সারা পৃথিবীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়। তিনি আজ বিশ্ব নেতৃত্বের এক রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘বীর বাঙালি ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা করো’ স্লোগানে ‘দেশ বাঁচাও’ শিরোনামে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী আনিসুর রহমান নিপু ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

সমাবেশের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি ব্যানার দেখিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ১৯৮১ সালে পার্টি অফিসে ঢুকে মনির ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা বিচার পাইনি। নিজের এই হাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে ৫০টা লাশ দাফন করেছি। এমনকি অনেকের  লাশ কবরস্থানে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। লাশের ওপর গুলি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই সময় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। ওই বেইমান শকুনরা ষড়যন্ত্র করছে। ওরা এই অক্টোবর মাসেই আমাদের মানচিত্রে থাবা দেবে।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন আওয়ামী লীগের কার্যলয়ে বোমা হামলার পর আমি বুঝিনি যে, আমি বেঁচে আছি। আমাদের কী অপরাধ ছিল? খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পার্লামেন্টে আমাকে দেখে নেবেন। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা তোলারাম কলেজের ছাত্র ছিলাম। ১৯ জন ছাত্র দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছি। তোলারাম কলেজে ঢুকতে পারেনি ওরা। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ওরা ষড়যন্ত্র করছে। সাথে আছে কিছু মোশতাক। এই বাংলাদেশে এখনো ওরা কথা বলে। আমি লজ্জা পাই। সে কারণেই আমরা গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, ওরা সামনে থেকে আসবে। কিন্তু ওরা পেছন দিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা ফোটানো হলো। ২০ জন লোক সাথে সাথে মারা গেল। হাসপাতালে আমাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করছিল, কিছু বলতে চান? তখনো নিজের কথা বলিনি। বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা জাপানের চেয়েও উন্নত দেশে থাকতাম। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পদ ছিলেন না, শেখ হাসিনাও আজ শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ না, তিনি আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা নারায়গঞ্জ মহানগর